বিজনেস পরিচালনায় গুগলের অ্যাপ্লিকেশন
Google G-Suite কি ?
এটি গুগলের প্রোডাক্টিভিটি ওয়েব এপ্লিকেশন গুলোর সমষ্টি যা একটি বিজনেস পরিচালনায় ডেটা ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেসন ও কোলাবরেশন সংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করে।
G-Suite এর মাধ্যমে আপনি আপনার জিমেইলটি পছন্দমত ডোমেন নামে ব্যবহার করতে পারবেন। সাথে প্রতিটি ইউজার একাউন্টে পাবেন ৩০ জিবি পর্যন্ত গুগোল ড্রাইভ স্টোরেজ সুবিধা। এছাড়াও সাথে রয়েছে দারুণ কিছু প্রোডাক্টিভিটি মোবাইল টুলস।
G-Suite -এ কি কি রয়েছে?
G-Suite এ পাচ্ছেন জিমেইল, হাংআউট, ক্যালেন্ডার যা মূলত কমিউনিকেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
স্টোরেজের জন্য রয়েছে গুগোল ড্রাইভ, এছাড়াও প্রোডাক্টিভ কাজের জন্য রয়েছে গুগল ডক, সিট, স্লাইড, ফ্রম, সাইটস যার মাধ্যমে রিমোটলি সবার সাথে যুক্ত থাকার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সহজে সম্পাদন করতে পারবেন।
G-Suite ইউজার ম্যানেজমেন্টের জন্য এডমিন প্যানেল এবং ভল্ট সুবিধা দেয়, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী এবং সার্ভিসগুলোকে ম্যানেজ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
Gmail এবং G-suite এরমধ্যে পার্থক্য কি?
সাধারণ গুগল এবং Gmail একাউন্টের সাথে G-suite এর যে প্রধান পার্থক্য সেটি হচ্ছে, একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর G-suite এর মাধ্যমে এর সমস্ত ইউজারদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
গুগলের যে অ্যাপগুলো রয়েছে যেমন, Gmail, ক্যালেন্ডার, ড্রাইভ, গুগল মাই বিজনেস এই সকল অ্যাপগুলো G-suite এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করা যায়।
ভিডিওটি দেখুন,
বিজনেস ডোমেইন
সাধারন গুগল একাউন্টটিকে G-suite এ কনভার্ট করা হলে আপনার আগের যে জিমেইল এড্রেস ছিল, যেমনঃ “xyz@gmail.com” এখানে gmail.com ডোমেইন পরিবর্তন করে আপনার পছন্দমত ডোমেন যেমন: xyz@abc.com ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্যবসা কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে বিজনেস ডোমেইন এর মাধ্যমে লেনদেনকৃত ইমেইল গুলোকে মানুষ বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং অগ্রাধিকার দেয়।
G-suite ব্যবহারের আরো একটি সুবিধা হচ্ছে, আপনার কর্মচারীদের নতুনভাবে এটি ব্যবহার করার জন্য ট্রেনিং দিতে হয় না। কারণ প্রায় অধিকাংশ কর্পোরেট প্রফেশনালরা Gmail ব্যবহারে অভ্যস্ত।
কিন্তু G-suite এর ক্ষেত্রে পার্থক্য হচ্ছে, এই Gmail টি কোম্পানি কর্তৃক নিয়ন্ত্রন করা হয়। কারো ব্যক্তিগত Gmail আইডি হিসেবে ব্যবহার করা হয় না।
একজন কর্মচারী যখন আপনার অফিস ছেড়ে চলে যাবে তখন তার সমস্ত ডেটার এক্সেস আপনার কাছেই থেকে যাবে।
আনলিমিটেড স্টোরেজ সুবিধা
G-suite একটি cloud-based প্ল্যাটফর্ম এবং এখানে আপনি পাবেন আনলিমিটেড স্টোরেজ সুবিধা।
G-suite একটি cloud-based প্ল্যাটফর্ম, এটি আপনাকে আনলিমিটেড স্টোরেজ সুবিধা দিচ্ছে যেখানে ছবি, ডকুমেন্ট, ই-মেইল সবকিছু স্টোর করে রাখতে পারবেন।
কিন্তু জিমেইল একাউন্টে আপনি শুধু মাত্র ১৫ জিবি স্টোরেজ সুবিধা পেতেন, যেখানে G-suite আপনাকে আনলিমিটেড স্টোরেজ দিচ্ছে।
G-suite এর দারুণ একটি সুবিধা হচ্ছে, আপনি পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে যেকোনো সময় এই ডকুমেন্ট বা ফাইলগুলো অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
যদি আপনারা চারজন বা তার থেকে কম ব্যবহারকারীর একটি টিম হয়ে থাকেন এবং যদি এক টেরাবাইটের স্টোরেজ নিয়ে থাকেন। তাহলে এই স্টোরেজে ১৭,০০০ ঘণ্টারও বেশি সময় মিউজিক বা সমমানের ডেটা স্টোর করে রাখতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি ডেটা মাইগ্রেশন সুবিধা পাবেন G-suite এ।
যার মধ্যে আপনি আপনার ষ্টোরেজের প্ল্যান যেকোনো সময় পরিবর্তন করে ডেটাগুলো স্থানান্তর করতে পারবেন।
টিম কোলাবরেশন কে উন্নত করে
G-suite এর অ্যাপ্লিকেশন গুলো রিমোট টিমওয়ার্কের জন্য দারুন ভাবে কার্যকর। যেখানে একটি ডকুমেন্টে একই সাথে মাল্টিপল ইউজার কাজ করতে পারে।
ধরুন, কোনো একটি ডকুমেন্টে কেউ একজন কাজ করছে এবং সেটি যদি তার টিম মেম্বারদের সাথে কোলাবরেট ভাবে ব্যবহার করছে।
এই ক্ষেত্রে রিয়েল-টাইমে সে যে ধরনের এডিট বা মডিফিকেশন করবে তার প্রত্যেক টিম মেম্বার সাথে সাথেই আপডেট দেখতে পাবে।
টেক কোম্পানি-র জন্য একটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি ফিচার। এছাড়াও এফএমজিসি কম্পানিগুলো যারা ফিল্ডে কাজ করে থাকেন তাদের সবার রিপোর্ট একসাথে সংগ্রহ করা এবং রিপোর্ট তৈরি করার জন্য সকলের সহযোগিতা নিতে একই সাথে যুক্ত থেকে তারা কাজ করতে পারে।
এতে তাদের কর্মদক্ষতা যেমন বেড়ে যায়, সময়ের অপচয় অনেক কম হয়।
ডেটার সিকিউরিটি নিশ্চিত করে
গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে আপনার সমস্ত ডেটা ক্লাউডে সেভ থাকে, বিধায় ডেটা হারিয়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকে না।
আপনার ডিভাইস যদি চুরি হয়ে যায় বা হারিয়ে যায় তারপরও আপনার সমস্ত ডেটাগুলো অক্ষতাবস্থায় থাকে এবং এটি আপনি বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
আপনার টিম মেম্বারগন যদি রিমোটলি কাজের জন্য অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে থাকে, তবে তাদেরকে শুধুমাত্র সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কিত প্রাথমিক জ্ঞানগুলো সম্পর্কে একটু সচেতন করে দিবেন তাহলেই যথেষ্ট।
অফিস পরিচালনা খরচ বাঁচায়
G-suite অ্যাপগুলো ক্লাউড বেইজড। যার কারণে আপনাকে মাত্র ৬ ডলার প্রতি মাসে খরচ করতে হয়।
G-suite আমাদের অফিস পরিচালনার খরচ অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী প্ল্যান বেছে নিতে পারেন।
তাই G-suite -এ শুধুমাত্র আপনি যে সুবিধাটি ব্যবহার করবেন কেবলমাত্র তার জন্য পেমেন্ট করবেন।
আপনার ইমেইলটি কেন G-suite-এ কনভার্ট করবেন ?
কারণ, G-suite একটি প্রফেশনাল ইমেইলিং সার্ভিস।
G-suite এবং Gmail এর মধ্যে নোটিশেবল পার্থক্য হচ্ছে এর ডোমেন নাম।
যখন জিমেইল ব্যবহার করি সেখানে ইউজার নামের পরে ডোমেন নামটা হয় Gmail এর। এটি ফ্রী সবাই জানে।
কিন্তু যখন G-suite ব্যবহার করছি তখন ইউজার নামের পরে আমার পছন্দের ডোমেইন নাম ব্যবহার করতে পারবো। এটি একটি Email -কে প্রফেশনাল লুক দেয় এবং অথরিটি তৈরি করে।
কাস্টম ডোমেইন নামের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে, আদান-প্রদানকৃত ইমেইল গুলোকে সেরা নিরাপত্তা প্রদান করে যা Email কে স্প্যাম ফোল্ডারে না পাঠিয়ে সরাসরি ইনবক্সে পৌঁছে দেয়।
Gmail থেকে G-suite -এ যাওয়া সহজ
Gmail এবং G-suite এর ইউজার ইন্টারফেস সহজ বোধ্য এবং প্রায় একই।
যদি বোধ করেন আপনার বিজনেসের কর্মচারীদের প্রোডাক্টিভিটি কমে যাচ্ছে তবে আপনি Gmail থেকে খুব সহজে G-suite এ কনভার্ট করতে পারেন।
আপনার G-suite এডমিন প্যানেলের মাধ্যমে কয়েকটি স্টেপ ফলো করে Gmail টিকে G-suite এ পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন।
G-suite ব্যবহারকারীদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন পড়বে না কারণ G-suite ও Gmail দুটোর ব্যবহার প্রক্রিয়া একই।
Gmail ব্যবহারকারীদের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হবেন
Gmail এর মাধ্যমে একজন ইউজার তার একাউন্টে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন রাখে কিন্তু যখন G-suite এর প্রশ্ন আসে, তখন একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সমস্ত একাউন্টের কন্ট্রোল এবং এর পরিবর্তন পারমিশন সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করেন।
অর্থাৎ এটি তখন আর ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে না, দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ একজন কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি চাইলেই G-suite বিজনেস একাউন্ট থেকে অনৈতিক কিছু করার সুযোগ নেই।
কেউ যদি চাকরি ছেড়ে চলে যায় তবে আপনি তার একাউন্টের সমস্ত ডেটার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন।
এছাড়াও রয়েছে ডেটা মেইনটেনেন্স ও রেকর্ড সুবিধা।
যার মাধ্যমে কিছু ডলার খরচ করে একটি বিজনেসের ই-মেইল সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য রেকর্ড রাখতে পারবেন। ভবিষ্যতে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য।
ইমেইলের তথ্য সুরক্ষা
G-suite ব্যবহার করে এমন সকল Email একাউন্ট গুলোর প্রত্যেকটি ডেটা ও কমিইনিকেসন G-suite সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
অর্থাৎ G-suite এর যে বাবহারকারী একাউন্টটি ব্যবহার করছেন। সে যখন কোনো তথ্য সেখানে হালনাগাদ করছে বা পরিবর্তন করছে অথবা সংরক্ষণ করেছে, সেটি G-suite অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
এখানে G-suite এবং সাধারন Email এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, ব্যক্তিগত Email এর মাধ্যমে যে তথ্যগুলো আদানপ্রদান হয় সেটি সেই ব্যক্তির সম্পদ যা কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কিন্তু G-suite এর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারী সমস্ত রকম তথ্য নিয়ন্ত্রন ও সংরক্ষণ করতে পারেন।
G-suite এর আরও একটি সুবিধা হচ্ছে, এটি শুধুমাত্র প্রতিদিনের কাজের প্রডাক্টিভিটি কে বাড়িয়ে দেয় এমনটি নয় এর মাধ্যমে একজন কর্মচারী তার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো অ্যাক্সেস করতে পারে মুহূর্তেই।
তাকে সেজন্য লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয় না। যে কোন অবস্থান থেকে অনুমতি নেওয়ার মাধ্যমে সে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এক্সেস করতে পারে।
মাল্টিপল ইমেইল এড্রেস এর সুবিধা
একই ইনবক্স মাল্টিপল Email এড্রেসের জন্য ব্যবহার করা যায়। এটি কাস্টমার রিলেশনশিপ বা কাস্টমার সাপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ফিচার।
বিজনেসে কাস্টমার খুব গুরুত্বপূর্ণ আর আপনি যদি সেই কাস্টমারের গুরুত্বকে না বোঝেন অথবা তার জিজ্ঞাসা সময়মত আপনার কাছে টেকনিক্যাল কারনে না পৌছায়। তবে আপনার বিজনেস যেকোনো সময় হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এছাড়াও এক ব্যক্তি বিভিন্ন ডোমেইন নাম থেকে প্রাপ্ত ইমেইলগুলো একটি ইনবক্সে দেখতে পারে।
তাকে বারবার ভিন্ন ভিন্ন প্যানেলের লগইন করে Email গুলো দেখতে হয় না। একটি স্ক্রিনে সবগুলো Email দেখতে সক্ষম হয়।
বেশি স্টোরেজ সুবিধা
Gmail এর ক্লাউড স্টোরেজ এবং G-suite এর ক্লাউড স্টোরেজ এর মধ্যে বড় পার্থক্য স্টোরেজ ক্যাপাসিটি।
জিমেইল শুধু মাত্র ১৫ জিবি অফার করে যেখানে G-suite দেয় ৩০ জিবি প্রতি ইউজারের জন্য।
চাইলে এই স্টোরেজ পরবর্তী সময় বাড়িয়ে তুলতে পারেন।যদি পাঁচটি ইউজারের জন্য স্টোরেজ আপডেট করেন অথবা এন্টারপ্রাইজ প্ল্যানে চলে যান তবে আপনি আনলিমিটেড ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করার সুবিধা পাবেন।
Real-time ভিডিও কনফারেন্সিং সুবিধা
গুগোল মিট একটি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ। এটি গুগলের Hangout ফিচারটি থেকে বড় পরিসরে ভিডিও কনফারেন্সিং সুবিধাকে ব্যবহার করার সুবিধা দেয়।
গুগোল Hangout যেখানে শুধুমাত্র ২৫ জনের সাথে ভিডিও কলে যুক্ত হবার সুবিধা দিত সেখানে গুগোল Meet ২৫০ জন ব্যক্তিকে একই সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত করতে সক্ষম।
G-suite এর বেসিক প্যাকেজ ১০০ মানুষকে একসাথে ভিডিও কলে কনফারেন্স করার সুবিধা প্রদান করে।
কেন আপনার বিজনেসে গুগল মিট প্রয়োজন ?
- নিরাপদ মিটিংঃ অডিও, ভিডিও স্ট্রিমিং এনক্রিপটেড ফলে এখানে আপনার ডেটা বাইপাস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
- ব্রডকাস্টিং গুলোর সংযোগ করেঃ আপনি আপনার মিটিংগুলো এক লক্ষ দর্শকের কাছে শেয়ার করতে সক্ষম হন।
- রেকর্ডিং করা খুব সহজঃ যদি এমন হয় যে আপনাদের মিটিং টির ভিডিও প্রচার করতে হবে তবে খুব সহজেই আপনার মিটিং এর ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন এবং পরবর্তী সময়ে এটি দেখতে পাবেন।
- মিটিং স্ক্রিন শেয়ার করার সুবিধাঃ মাল্টিপল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার মিটিং এর সময় ভিডিও স্ক্রিন অথবা মিটিং স্ক্রিন শেয়ার করতে সক্ষম হবেন।
এছাড়াও Hangout মিট হার্ডওয়ার আপনার ভিডিও কলিং অভিজ্ঞতাকে আরও চমৎকার করে তোলে।
আপনার যদি বড় একটি কনফারেন্স রুম থাকে তবে হ্যান্ডআউট মিট হার্ডওয়ার আপনাকে হাই কোয়ালিটি এইচডি ভিডিও ক্যামেরা এবং স্পিকার এর মাধ্যমে চমৎকার একটি ভিডিও অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম।
যদি আপনার বিজনেস G-suite ব্যবহার করে থাকে তবে এখনই আপনি Hangout মিট সুবিধা পেতে পারেন যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে সর্বনিম্ন ২৫ জন ব্যক্তিকে একই সাথে ভিডিও কনফারেন্স সুবিধার মাধ্যমে যুক্ত করতে পারবেন।
এন্টারপ্রাইজ সলিউশন আপনাকে সর্বোচ্চ ৫০ জন ব্যক্তিকে একইসাথে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সুযোগ দেয় যা ব্রডকাস্টিং সুবিধাদ্বারা এক লক্ষ মানুষ সরাসরি দেখতে পারে।
আপনার কি গুগোল G-suite প্রয়োজন ?
আমরা তাদেরকে G-suite রিকমেন্ড করি যাদের বিজনেসের জন্য Email-Hosting সুবিধা নিচ্ছেন। কারণ G-suite এ শুধুমাত্র হোস্টিং সার্ভিস এর বাইরে আরও অনেক কিছু রয়েছে। যেখানে অনেক ধরনের ফিচারের মাধ্যমে আপনি আপনার পুরো বিজনেসটিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে সক্ষম হবেন।
G-suite ব্যবহার করলে কি কি সুবিধা পাবেন ?
- G-suite ব্যবহার করলে আপনি পাবেন কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করার সুবিধা
- ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধা
- টেকনিক্যাল সাপোর্ট
- অ্যাডভান্স ম্যানেজমেন্ট এবং কন্ট্রোল অপশন
- মোবাইল ডিভাইস সুপারভিশন টুলস
- দ্রুত এবং আরামদায়ক ডাটা মাইগ্রেশন সুবিধা
- পাবেন বিনামূল্যে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ্লিকেশন
কতজন মানুষ এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে গুগল G-suite ব্যবহার করছে ?
বিজনেস ইনসাইডারের মতে বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের ৬ মিলিয়ন মানুষ মূল্য পরিশোধ করে G-suite ব্যবহার করছে। এটি মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের ক্রমবর্ধমান কম্পিটিশন এর সাথে আরও দ্রুত বেড়ে চলেছে।
G-suite সাথে আপনি কোন কোন অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করতে পারবেন ?
G-suite বিশ্বাস করে আপনার বিজনেসের জন্য শুধুমাত্র G-suite এর বাইরে আরও অনেক বিজনেস টুলস দরকার যেটি আপনার প্রতিদিনের কাজকে আরও বেশি প্রোডাক্টিভ করে তোলে।
সেজন্য G-suite আপনাকে দিচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম গুলোর ইন্টিগ্রেশন সুবিধা। যার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার বিজনেসের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো সেন্ট্রালি ম্যানেজ করতে পারবেন।
দেখে নিন, কোন কোন অ্যাপ্লিকেশনগুলো G-suite এর সাথে যুক্ত করা যায়।
গুগোল G-suite মাইক্রোসফট অফিস 365 এর চেয়ে অধিক শক্তিশালী এবং ফ্লেক্সিবল। মাইক্রোসফট অফিস 365 পুরোপুরিভাবে ক্লাউড বেইজড যা যেকোনোডেস্কটপ বা মোবাইলে ব্যবহারযোগ্য। যেখানে g-suite এর রয়েছে ডেক্সটপ অ্যাপ্লিকেশন।
G suite ইউজার রিভিউ
কাস্টমার স্টোরি
G-suite কতটুকু নিরাপদ?
G-suite এর ডেটা স্টোর থাকাকালীন, ব্যাকআপ রাখার সময় এমনকি ইন্টারনেট ব্যবহার করে ট্রান্সফার করার সময় encrypted থাকে। ডেটার নিরাপত্তা প্রদান G-suite এর প্রধান দায়িত্ব।
G-suite এর সাথে কতগুলো Email এড্রেস পাবেন
প্রতিটি G-suite একাউন্ট এর সাথে ৩০ টি ইমেইল এড্রেস বিনা খরচে ব্যবহার করার সুবিধা পাবেন।
প্রতিটি G-suite একাউন্ট এর সাথে ৩০ টি ইমেইল এড্রেস বিনা খরচে ব্যবহার করার সুবিধা পাবেন।
যেমনঃ info@abc.com, bill@abc.com
G-suite ব্যবহার করতে কি ডোমেইন প্রয়োজন?
G-suite ব্যবহার করতে ডোমেইন প্রয়োজন। আপনার পূর্বে যদি ডোমেইন কেনা থাকে সেটি যুক্ত করুন অথবা G-suite থেকে মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে পছন্দের ডোমেইন বেছে নিতে পারবেন
G-suite প্রাইস প্ল্যান
G-suite তিনটি ভিন্ন প্ল্যানে পাচ্ছেন।
- বেসিক প্ল্যানঃ যেখানে ৩০ জিবি ড্রাইভ স্টোরেজ পাবেন।
- বিজনেস প্ল্যানঃ যেখানে আনলিমিটেড স্টোরেজ পাবেন সাথে থাকছে এক্সট্রা সিকিউরিটি ও এডমিন প্যানেল।
- এন্টারপ্রাইজ সল্যুশনঃ যেখানে পাবেন আনলিমিটেড স্টোরেজ ও আডভান্সড কন্ট্রোল
Email হস্টিং সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে G-suite অন্যতম সেরা সমাধান। এটি শুধুমাত্র হস্টিং সার্ভিসের ছাড়াও স্টোরেজ ও কোলাবরেশনের জন্য ব্যবহারকারীকে আরও বেশি সুবিধা প্রদান করে।